ফাইল ছবি

চলতি বছরের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় আশ্রিত কিছু রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মাসে (সেপ্টেম্বরে) বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল রাখাইন পরিদর্শনে যাবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানো নিয়ে মনোবল বাড়াতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে।

রোববার (২৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র-সচিব জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক পর্যায়ে এবং আরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের একটি প্রতিনিধিদলের মিয়ানমার যাওয়ার কথা আছে। তাদের মিয়ানমারে মহাপরিচালক পর্যায়ের সঙ্গে একটা বৈঠক হওয়ার কথা আছে। তারা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে আসতে পারবেন। সম্ভবত তাদের রাখাইন প্রদেশ দেখাবে।

আরও পড়ুন : রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, তারপর মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধিদল এখানে আসবে। তারা ব্যক্তি পর্যায়ে রোহিঙ্গা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে। তারা (মিয়ানমার) যেসব কথা আমাদের শেয়ার করেছে, সেটা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে শেয়ার করলে ওদের কনফিডেন্সটা বাড়বে।

চলতি বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে মুভমেন্ট করা কঠিন আছে। আমরা আশা করছি, শুষ্ক মৌসুমে। সে কারণে বর্ষা শেষ হলে সেপ্টেম্বরে প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্রস্তুতি নিলে হাতে তিনটা মাস থাকবে।

ডিসেম্বরের আগে প্রত্যাবাসন হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র-সচিব বলেন, আমরা তো আশা রাখি।

আরও পড়ুন : ব্রিকসে সদস্যপদ নিয়ে আঞ্চলিক ইস্যু থাকতে পারে : পররাষ্ট্রসচিব

পাইলট প্রকল্পের আওতায় কত রোহিঙ্গাকে পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমরা তিন হাজারের ওপরে তালিকা দিয়েছি। এর মধ্যে ওরা যতজনকে নেয়। একটা পরিবার থেকে যেন ভেঙে না যায় এবং একই এলাকা থেকে হয়, সেটাও দেখতে হবে। আমাদের প্রাথমিক আলোচনা ছিল হাজারখানেক।

পররাষ্ট্র-সচিব বলেন, কিছু কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা বা দেশ তাদের কিছু শর্ত আছে। আমরা স্বেচ্ছায় তাদের নেব কিনা বা ওখানে ফেরত পাঠাব কিনা বা টেকসই হবে কিনা বা রাখাইন প্রদেশে যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে কিনা, এসব নিয়ে তাদের ছোট প্রশ্ন আছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা যে তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছি, তারা যদি ক্লিয়ার করে দেয়, তাদের মধ্যে যে সব রোহিঙ্গা যেতে চায় আমরা তাদের পাঠানোর চেষ্টা করব।

এনআই/এসকেডি