সাতকানিয়ায় ফের বন্যার আশঙ্কা
ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং ধীরে ধীরে পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এঅবস্থায় রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে মাইকিং করছে ফায়ার সার্ভিস। এতে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের শুকনা খাবার মজুত এবং প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এই উপজেলার বুক চিরে বয়ে চলা সাঙ্গু ও ডলু নদীতে এখন পাহাড়ি ঢল নেমেছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। এতে উপজেলার কেঁওচিয়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, চরতী ও নলুয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। কারণ এই এলাকাগুলোতে কয়েকদিন আগে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। এতে এক সাতকানিয়া উপজেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা সৈয়দ আহমেদ বলেন, ডলু নদীতে পানি উপচে পড়ে লোকালয়ে ঢুকছে। কয়েকদিন আগে আমাদের এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। এবারও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাতকানিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার সকাল থেকে আমাদের একটি টিম বন্যার বিষয়ে সতর্ক করার জন্য মাইকিং করছেন। তারা বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাইকিং চালিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে জানতে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাসকে ফোন করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকীকে ফোন করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে বিকেলে ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে টানা ভারী বর্ষণ এবং সাঙ্গু নদী ডলু নদী ও হাঙর খাল দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। এতে ৮ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট টানা তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এসময়ে পানিতে তলিয়ে তিন উপজেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ভেসে যায় ফসলের খেত এবং মাছের প্রজেক্ট। স্রোতের তোড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক এবং নির্মাণাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এমআর/এমজে