চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবড়িয়াসহ বিভিন্নস্থানে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় প্রধান আসামি করে জুনায়েদ বাবু নগরী ও মামুমুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। রোববার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে ২৬ মার্চের ঘটনায় বাবু নগরী ও মামুনুল হক উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি এ দাবি জানান।

হাসানুল হক ইনু বলেন, হুকুম ও উস্কানিদাতা হিসেবে মামুনুল হক ও বাবু নগরীকে প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব রাখঢাক না করে মামুনুল হক-বাবু নগরীদের নাম উচ্চারণ করেন। উস্কানিদাতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করুন।

হেফাজত ও বিএনপি-জামায়াত একই চক্র দাবি করে জাসদ সভাপতি বলেন, হেফাজত বিএনপি-জামায়ত একই গোষ্ঠী। অপশক্তিকে বিএনপি সমর্থন করছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ, বিপদস্বরূপ। শক্তভাবে দমন করা ছাড়া কোনো পথ নেই।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম যেটা করেছে তা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্বর্য ভাঙা, বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি, কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ঘটনা সবই আমাদের নজরে নেওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর ওপর আক্রমণ হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। রাষ্ট্রকে অস্বীকার করা।

এসব ঘটনা ছোটখাট আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় নয় জানিয়ে ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ছাড়াও হেফাজত সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করেছে। এটা সাম্প্রতিক সম্প্রতি বিনষ্ট করার মহা চক্রান্ত। এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, মোদি ছিলেন উপলক্ষ মাত্র, কার্যত হেফাজত একাত্তরের পাকিস্তান সমর্থক রাজাকারের উত্তরসূরি হিসেবে দেশের রাষ্ট্র ও সংবিধানকে অস্বীকার করছে, দেশ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে অস্বীকার করছে। তাদের কার্যক্রম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

পুলিশের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, হামলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তাদের তাণ্ডবে পুলিশ প্রশাসনের অসহায়ত্ব দেখেছি। এই দুর্বলতা কেন? কীসের সমস্যা। পুলিশের গাড়িতে আগুন, আসামি ছিনতাই। পুলিশ কী তার নৈতিক বল হারিয়ে ফেলেছে? নাকি তাদের জনবল কমে গেছে। পুলিশ কেন অসহায়?

এইউএ/এসএসএইচ