ভূসম্পত্তি দিয়ে আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাই : চসিক মেয়র
সিটি করপোরেশনের যে ভূসম্পত্তি রয়েছে সেগুলোর সদ্ব্যবহার এবং সেখানে পরিকল্পিত আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হলে নগরীর উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ লাঘবে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বনির্ভরতা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
শনিবার (৩ এপ্রিল) ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে চসিকের ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ হয় নগরবাসীর দেওয়া কর ও রাজস্ব আদায় থেকে, কখনো কখনো সরকার থেকে পাওয়া বরাদ্দ থেকে। এটা দিয়ে নগরীকে সবার বাসযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সম্ভব নয়। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সেবা খাত অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বিস্তৃত। এজন্য এক সময় দেশ-বিদেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সুনাম ছিল। এটা সম্ভব হয়েছে প্রয়াত সফল মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দূরদর্শী দৃষ্টি ভঙ্গির কারণে। তিনি চসিকের ভূসম্পদ বাড়িয়েছেন। এখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ অনেক আয়বর্ধক প্রকল্প গড়ে তুলেছিলেন তিনি। এভাবেই চসিককে তিনি স্বনির্ভর করেন এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অবকাঠামোগত নির্মাণে কখনো কারও মুখাপেক্ষী হননি।
রেজাউল করিম বলেন, ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট মহিউদ্দিন চৌধুরীর একটি অনন্য কীর্তি। বিশাল এই ভূসম্পত্তিতে পর্যটন ও বিনোদন স্পটসহ অনেক ছোট-বড়-মাঝারি আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। এতে চসিকের সক্ষমতার ভিত মজবুত হবে। চসিকের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা যাচাই ও উপায় অন্বেষণের আহ্বান জানান মেয়র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী মো. শফিকুল আজিম, জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহেদ ইকবাল বাবু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী জয় প্রমুখ।
কেএম/এসএসএইচ