সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মিছিলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গরিব, দুঃখী সবার কথা চিন্তা করে এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ধনী-গরিবের যে বৈষম্য রয়েছে সেটা দূর হয়ে যাবে। মানুষ যাতে ভালো থাকে সেজন্য এই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৮ বছরের যুবকদের মাসিক আয় থেকে ৫০০ টাকা জমা হয়ে ৬০ বছরে তারা পুরো টাকা পাবে। তখন তাদের আর নিজের ছেলে-মেয়েদের মুখাপেক্ষী হওয়া লাগবে না। নিজের টাকায় তারা আরাম-আয়েশে চলতে পারবে।
সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী পদক্ষেপটি বিএনপি-জামায়াত ভালো চোখে দেখেনি। তারা কখনোই বাংলার মানুষের ভালো চায় না। তারা বাংলার মানুষের রক্ত লুণ্ঠন করে বিদেশে আরাম-আয়েশে জীবনযাপন করে। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা লুট করেছে, আর তার ছেলে তারেক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এসব খুনিদের বাংলার মানুষ আর দেখতে চায় না। আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারা জানে প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে গেছেন এবং দেশের সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলেছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলার মানুষ তাদের ক্ষমতায় আসতে দেবে না। এ কারণে তারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে।
সাচ্চু বলেন, ফখরুল ইসলাম কথায় কথায় বলে শেখ হাসিনা পালানোর পথ পাবে না। এত কষ্ট করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করলাম আমরা, আর বিএনপির চোরেরা বলে আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। শেখ হাসিনা শুধু একবার হুকুম দিক, ১০ মিনিট লাগবে না, আপনাদের বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে পানি খাওয়াবো।
মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক সাইদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, আনোয়ার হোসেন সাদেক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল সায়েম, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ওএফএ/জেডএস