রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে কথা বলছেন কূটনীতিকরা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে একদিনের সফরে ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ১০ বিদেশি রাষ্ট্রদূত। সফরে তারা কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জেনেছেন।

শনিবার (৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের ভাসানচরে নেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেখানকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এসব দেশ এবং জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা। বাংলাদেশ সরকার স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে, তা এ সফরের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, নেদারল্যান্ড ও কানাডার মিশন প্রধানদের সংক্ষিপ্ত এই সফরে সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মহসিন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই সফরে কূটনীতিকরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তারা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। পুরুষ রোহিঙ্গারা চাষাবাদ এবং মাছ চাষে তাদের আরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১০ বিদেশি কূটনীতিকের ভাসানচর সফরের তথ্য জানায় ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সফরে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। একইসঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রাখতে আগ্রহী তারা। এর আগে মার্চ মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত জাতিসংঘের একটি দল দ্বীপটি পরিদর্শন করে। 

কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে অধিকতর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয় করে ভাসানচর প্রস্তুত করে বাংলাদেশ সরকার। বছর দুয়েক আগেও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছিল না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাধার কারণে। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের অনিচ্ছার পরও ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। এ পর্যন্ত ছয় দফায় রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

এনআই/আরএইচ