আ. লীগকে বিজয়ী করতে চিকিৎসকদের নির্দেশনা দিলেন বিএসএমএমইউ ভিসি
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেকে নির্বাচিত করতে চিকিৎসকদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আগামীতে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে চিকিৎসক সমাজসহ সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি চিকিৎসকদের এই নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য বলেন, ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এই নজির বিহীন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাসে আক্রান্ত হয় মানবতা। এই নারকীয় হামলায় আক্রান্ত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাবনতচিত্তে হামলায় নিহতদের স্মরণ করছি। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট যারা ষড়যন্ত্র করেছে, যারা নেপথ্যে রয়েছে সেই ঘৃণ্য পরিকল্পনাকারীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে কমিশন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিচার পথ রুদ্ধ করেছিল, খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল তাদেরও বিচার হতে হবে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর করাসহ দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির সাজা কার্যকর করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, রেজিস্ট্রার ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেনসহ অনেকে।
টিআই/এমএসএ