দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চিকিৎসা দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামান এবার ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন ওই চিকিৎসক।

এদিকে চিকিৎসককে হুমকির ঘটনায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তাফসীরুল ইসলাম ও সিটিটিসির হাতে গ্রেপ্তার হাফিজা মাহবুবা বৃষ্টিকে ধানমন্ডি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই চিকিৎসক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আজ একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অভিযুক্ত দুই আসামিকে র‍্যাব ও সিটিটিসি থানায় হস্তান্তর করেছে। আমরা দুই আসামিকে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর আমি ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করি। জিডি করার পর এই বিষয়ে আমি ডিএমপির সিটিটিসি ও এলিট ফোর্স র‍্যাবের সঙ্গে আলোচনা করি। পরে সিটিটিসি ও র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে আটক করে। পরে র‍্যাব ও সিটিটিসি দুইজনকে আটক করার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি থানায় এসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করি।

এর আগে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে সাঈদীর চিকিৎসকের দায়ের করা জিডির অভিযুক্ত হাফিজা মাহবুবা বৃষ্টিকে (৩২) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। অন্যদিকে একই দিনে চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকিদাতা ঝিনাইদহ থেকে তফসিরুল ইসলাম (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

উল্লেখ, হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামান।

জিডিতে ভুক্তভোগী চিকিৎসক জামান উল্লেখ করেন, তিনি বিএসএমএমইউতে হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিএসএমএমইউর হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাঈদী।

সোমবার (১৪ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদী মারা যান। চিকিৎসক জামান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের একজন সদস্য হিসেবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ইউটিউবে  বিভিন্ন আইডি থেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, তিনি বর্তমানে কতিপয় ব্যক্তিদের আচরণে ভীত শঙ্কিত। কয়েকটি ফেইসবুক ও ইউটিউব পেইজের ব্যবহারকারী এবং তাদের অনুসারী ব্যক্তিরা যেকোনো সময় তার ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন জখম সহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি জিডি করেন তিনি।

এমএসি/জেডএস