গণভবনে পেনশন স্কিমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ সাইফুল কল্লোলের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া ছবি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যা অঙ্গীকার করি তা রাখি। আজকের দিনটি তার প্রমাণ। শুধু দলের জন্য নয়, আজকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য করতে যাচ্ছি (পেনশন স্কিম)। সেটাই আমাদের জন্য আত্মতুষ্টির বিষয়।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পান। যারা চাকরি করেন না তারা তো পান না। কাজেই এটা সরকারি চাকরিজীবীর জন্য নয়। যারা সরকারি চাকরি করেন, বেতন পান, তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবে না। সরকারি চাকরির বাইরে যে জনগোষ্ঠী, শুধুমাত্র তাদের জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা করেছি। যাতে করে তারা সম্মানজনকভাবে বাঁচতে পারে। এর ফলে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য আছে সেটা দূর হবে। 

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে আসলাম, তখন সর্বজনীন মানুষের জন্য কী করতে পারি সেই বিষয়ে চিন্তা করতে থাকলাম। ২০০৮-এ নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সিদ্ধান্ত নিই। এটা করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। তখন মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থাও খারাপ ছিল। তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল নিম্নস্তরে। অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়, আয় রোজগারের সক্ষমতা থাকে না, অথবা অসুস্থ হয়ে কাজ করতে পারে না, সেই সময় অন্তত একটা সুরক্ষা হিসেবে থাকবে এই পেনশন। অনেক সময় বয়স্ক ব্যক্তিটা পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে যায়। আসলে আমাদের ছেলে-মেয়েই দেখতে চায় না। এই অবস্থায় বৃদ্ধরা যাতে অসহায় না হয়, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু করেছিলাম। আজ আমরা পেনশন স্কিম চালু করে দিলাম। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সাইফুল কল্লোলের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া ছবি।

• সরকারি পেনশন স্কিমে যেভাবে অংশ নেবেন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন।

শুরুতে চার শ্রেণির ব্যক্তি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আসছেন। তারা হচ্ছেন- প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী এবং অসচ্ছল ব্যক্তি। 

মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কর্মসূচি পরিবর্তন এবং চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ থাকছে।  

পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট চালু হয়েছে গতকাল বুধবার। ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.upension.gov.bd। । এতে বলা হয়েছে, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’ ওয়েবসাইটের ঠিকানায় পেনশন স্কিমগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করা আছে। 

এমএসআই/এনএফ