চাকা ফেটে যাওয়ায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ অন্য একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হচ্ছে / ছবি- সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে বের করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর মঙ্গলবার ভোর ৫টার ৪০ মিনিটের দিকে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়।

প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর মঙ্গলবার ভোর ৫টার ৪০ মিনিটের দিকে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বের করতে সক্ষম হয় পুলিশ / ছবি- সংগৃহীত

এর আগে, ঢাকায় সাঈদীর জানাজার নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে রাতভর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ‘জানাজা হবে কোথায়? ঢাকায়-ঢাকায়’ বলে স্লোগান দেন।

একপর্যায়ে ভোররাত ৪টার দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ সদস্যরা সরে যান। ভোর ৫টার দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে প্রবেশ করে পুলিশ। সাঈদীর ভক্তদের এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএমএমইউ প্রাঙ্গণ দখলে নেয় পুলিশ। ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি বের করে পুলিশ।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি পিরোজপুরে যেতে বাধা দিতে রাস্তার ওপর শুয়ে পড়েন জামায়াতের নেতাকর্মীরা / ছবি- সংগৃহীত

বিএসএমএমইউ থেকে বের হওয়ার পরপরই সাঈদীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের একটি চাকা ফেটে যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স এনে মরদেহটি নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

রাত ৩টা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে বের করার চেষ্টা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ / ছবি- সংগৃহীত

 এসকেডি/