অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ফাঁসের ঘটনার পর থেকে এনআইডির নিরাপত্তায় নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একের পর এক মিটিংয়ের পর এবার সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে মাঠ কর্মকর্তাদের সচেতন করার উদ্যোগ নিচ্ছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি সংরক্ষিত জাতীয় তথ্য ভান্ডারের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইসিতে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে করণীয়গুলো আরও সন্নিবেশ করতে হবে। পাশাপাশি এনআইডি উইংয়ের নিজস্ব জনবলকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে সব পার্টনারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজনের পরামর্শও দেন তিনি। প্রয়োজনে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও সুপারিশ করেন এ কর্মকর্তা।

এনআইডি মহাপরিচালক এ. কে. এম হুমায়ূন কবীর বলেন, আমাদের তথ্য ভান্ডারের ব্যাকআপ রয়েছে। ডাটা কোনো কারণে হারিয়ে গেলে তা পুনরুদ্ধারে ডিজাস্টার রিকভারি সিস্টেমের বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই কালিয়াকৈরে বিসিসিএ'র সঙ্গে চুক্তি করেছি। সেই চুক্তি অনুযায়ী আগামী মাস থেকে সেখানে ডাটা সংরক্ষণ শুরু হবে। কোনো ডিজাস্টার হলে আমরা সেখান থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারব।

ইসির সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার ফারজানা আখতার জানান, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক কম্পিউটারসহ ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও মোবাইলে নিরাপদ ইন্টারনেট বাধ্যতামূলক। এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজ অনলাইন প্লাটফর্মে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

এ আলোচনা কার্যক্রমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসআর/এমজে