হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে পাসপোর্ট জমা রাখার পরিকল্পনা
শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ইউরোপ (যুক্তরাজ্য বাদে) ও ১২ দেশের যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। রাত ১২টার পর আগতদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের বিধিনিষেধও কার্যকর হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইন সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালনের জন্য প্রয়োজনে আলোচনা করে যাত্রীদের পাসপোর্ট জমা রাখার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচকের এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে আগতদের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রাত ১২টার পর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে মালিন্দো এয়ার, জেদ্দা থেকে সৌদি এয়ারলাইন্স এবং শারজাহ থেকে এয়ার আরাবিয়ার ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে। এসব ফ্লাইটে আগতদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে রাত ১২টা ৫০ মিনিটে কুয়েত থেকে কুয়েত এয়ারওয়েজের যে ফ্লাইটটি আসার কথা ছিল সেটি বাতিল করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বেবিচক থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এতে বলা হয়, ইউরোপের দেশসমূহ (যুক্তরাজ্য ছাড়া), আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, তুরস্ক, সাউথ আফ্রিকা, উরুগুয়ে, পেরু, বাহরাইন, জর্ডান, লেবানন, কুয়েত ও কাতারের যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকার বিমানবন্দরে আগত সবার করোনা নেগেটিভ সনদ (৭২ ঘণ্টা আগের পরীক্ষা করা) থাকতে হবে। আগতদের কারও শরীরে যদি করোনার লক্ষণ-উপসর্গ না পাওয়া যায় তবে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। আর উপসর্গ পাওয়া গেলে তাদের পাঠানো হবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে বেবিচক এ নির্দেশনাগুলো দিয়েছে। যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করা হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। প্রয়োজনে হোম কোয়ারেন্টাইন সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালনের জন্য আলোচনা করে যাত্রীর পাসপোর্ট জমা রাখা হবে।’
বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রবেশের নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা দেশগুলোতে কোনো যাত্রী যদি ট্রানজিট নিয়ে আসেন, তাদের চার দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নেওয়ার পর তাদের আরও ১০ দিনের (সবমিলিয়ে ১৪ দিন) হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর যদি করোনার কোনো লক্ষণ থাকে তাহলে নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত স্থানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা না থাকলেও আগামী ৯ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশের যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
এআর/এফআর