সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনী হয়েছে। এসময় ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদের সামনেই তর্ক-বিবাদে জড়িয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ট্রফিটি প্রদর্শনের জন্য আনা হয়। শুরু থেকেই সেখানে ভিড় জমান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী।

তার বক্তব্য শেষে বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি করেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এসময় সাংবাদিকরাও ছিলেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের সামনেই ছবি তোলা নিয়ে তর্ক-বিতর্কে জড়ান কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। 

বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্য মো. রাজ্জাক উত্তেজিত হয়ে বলেন, সবাই এমন করলে ছবি তোলা যাবে না। শৃঙ্খলভাবে আসলে ছবি তোলা যাবে। এরপর লাইন ধরে সবাই ট্রফির সামনে ছবি তোলেন। কেউ-কেউ ট্রফিতে স্পর্শও করেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সতর্ক করে বলেন, দয়া করে কেউ ট্রফিতে হাত দেবেন না।

পরে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে সম্মেলন কক্ষ থেকে ট্রফিটি নিয়ে যাওয়া হয়। 

এর আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। সেই অনুযায়ী বিশ্বকাপের পর্দা উন্মোচনে আর মাস তিনেকের মতো বাকি। এর আগে নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ব ভ্রমণে বের হয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি। আপনারা জানেন, মহাকাশে এক লাখ ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় ট্রফিটির উন্মোচন করা হয়। ১৮টি দেশ পরিভ্রমণ করছে এই ট্রফি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এসেছে এটি।

তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ট্রফি ঢাকায় তিনদিন অবস্থান করবে। গতকাল (সোমবার) আমাদের গর্বের পদ্মা সেতুতে ট্রফিটির ফটোসেশন হয়েছে। ট্রফিটিও আমাদের স্বপ্ন, ইনশাআল্লাহ আমাদের দামাল ছেলেরা এ স্বপ্নটি শিগগিরই বাস্তবায়ন (বিশ্বকাপ জয়) করবে। আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবো, এটি আমাদের সবার প্রত্যাশা। 

এসএইচআর/কেএ