পানির নিচে বান্দরবান
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে পার্বত্য জেলাটি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বান্দরবান সদর, রুমা, আলীকদমসহ জেলার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে অনেকে সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জেলার প্রধান দু’টি পাহাড়ি নদী সাঙ্গু ও মাতামুহুরির ন্যাব্যতা কমে যাওয়া এবং এই নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা প্রধান শহর, উপজেলা শহর এবং জনবসতিপূর্ণ গ্রামগুলো অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
শুধু বান্দরবান নয়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুইশ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে আরো কয়েকটি জেলায়। নিকলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৩৫ মিলিমিটার, বগুড়ায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১৩ মিলিমিটার এবং ভোলায় ২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তবে আগামী তিনদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৫৪ মিলিমিটার।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
এদিকে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ফলে অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ দুই জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জেডএস