রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইউটিএস ভবনের সামনে মো. সবুজ (৩৫) নামে এক লেগুনাচালককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, লেগুনার ধাক্কায় প্রাইভেটকারের লুকিং গ্লাস ভাঙাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে তাকে মারধরে হত্যা করেন প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিরা।

বুধবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় সবুজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগের নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সবুজকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আরেক লেগুনাচালক মিন্টু মিয়া বলেন, সবুজ আনন্দ লেগুনার চালক ছিলেন। রাতে ইউটিএস ভবনের সামনের রাস্তায় লেগুনার সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কা লাগে। এতে প্রাইভেটকারের গ্লাস ভেঙে যায়। পরে প্রাইভেটকার থেকে চার-পাঁচ জন লোক নেমে সবুজকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে সবুজ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে প্রাইভেটকার নিয়ে তারা পালিয়ে যান। পরে আমরা সবুজকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে একজন চালক এভাবে মেরে ফেলবে। আমরা সবুজ হত্যার বিচার চাই।

নিহত সবুজের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায়। তার বাবার নাম রতন আলী খান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ইমরান হোসেন বলেন, রাতে লেগুনাচালক গ্যাস নিয়ে ফিরেছিলেন। এসময় লেগুনার ধাক্কায় প্রাইভেটকারের লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। এরপর লেগুনাচালকের সঙ্গে প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে কিল-ঘুষিতে লেগুনাচালক আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আশপাশের লোকমুখে জানতে পেরেছি, দুই-তিন মিনিটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান এসি।

এসএএ/এসএসএইচ/