ঢাকা-কলকাতা রুটে পরীক্ষামূলক সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এ রুটে বাস চলাচলের উদ্বোধন করা হয়।

এদিন বিকেলে ঢাকা থেকে যাত্রীদের নিয়ে একটি বাস পৌঁছায় বাংলাদেশের ভোমরা সীমান্তে, সেই সময়ে কলকাতা থেকেও বাস পৌঁছায় ঘোজাডাঙ্গায়। এরপর যাত্রী বিনিময়ের মাধ্যমে শেষ হয় পরীক্ষামূলক যাত্রাটি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে গ্রিনলাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার ও ভারতের পক্ষে কলকাতা গ্রিনলাইন পরিবহনের স্বত্বাধিকারী সঞ্জয় মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মামুন কবির জানান, ঢাকা-কলকাতা রুটে পরীক্ষামূলক বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। প্রথমদিন অল্প সংখ্যক যাত্রী ভারতে গেছেন। এক মাস পর থেকে পুরোদমে এ বাস চলবে।

বাংলাদেশের গ্রিনলাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার বলেন, কম খরচে সহজেই ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারতে যেতে পারবেন যাত্রীরা। এক বছর আগে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়, তার সফল বাস্তবায়ন হয়েছে। অনেক আগে থেকেই বেনাপোল হয়ে ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। সেখানে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার জটিলতা রয়েছে। তবে ভোমরা বন্দরে সময় লাগবে মাত্র আধাঘণ্টা।

কলকাতা গ্রিনলাইন পরিবহনের স্বত্বাধিকারী সঞ্জয় মজুমদার বলেন, আপাতত এপার থেকে ওপারে যাত্রী নিয়ে বাস বদল করে কলকাতায় যেতে পারবেন যাত্রীরা। মাসখানেক পর থেকে একটানা কলকাতায় বাস যাবে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাস চালুর দাবি তুলেছিল ঘোজাডাঙা এক্সপোর্টার্স ও ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থা সম্পাদক রাজু সাহাজি বলেন, শুধু যাতায়াতের সুবিধা নয়, পদ্মা সেতু দিয়ে বাসে কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে দুই ঘণ্টা সময় কম লাগবে।

জানা গেছে, ভোমরা স্থল বন্দর থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। এটিই বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকটবর্তী। তাছাড়া ভোমরায় ইমিগ্রেশন যাত্রীদের ভিড়ও কম। এ পথ দিয়ে ঢাকা থেকে সবচেয়ে কম সময়ে কলকাতায় যাতায়াত করা যাবে।

/এসএসএইচ/