ভারতে শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরা না ফেরা তার সিদ্ধান্তের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে গিয়ে যদি থাকে, সে যদি তার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলে বা লুকিয়ে ফেলে বা সে যদি স্বদেশে আসতে চায় আমরা সব সময় রুটিনলি ট্রাভেল পাস ইস্যু করি। এখানে তার রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়। উনি চেয়েছেন, তাকেও ওভাবে দেওয়া হয়েছে (ট্রাভেল পাস)। আসা-না আসা তার দায়িত্ব, আমার দায়িত্ব না।

গত ১২ জুন গোহাটির বাংলাদেশ মিশন থেকে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। ট্রাভেল পাসের শর্তে বলা আছে, ট্রাভেল পাস ইস্যুর তিন মাসের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে হবে।  

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা।

প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তিনি বেকসুর খালাস পান। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় সালাউদ্দিন দেশে ফিরতে পারছিলেন না। পরে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গোহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন।

সালাউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

এনআই/এসকেডি