স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় শুধু সিটি কর্পোরেশন নয়, সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কাউন্সিলর ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টাও জরুরি। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রোববার (৩০ জুলাই) নগর ভবনের হানিফ মিলনায়তনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ, এডিস মশার কামড়ে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গু হয়ে থাকে। এটি যেহেতু ভাইরাস বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না তাই কোভিডের সময় মানুষ যেমন সতর্ক আর সচেতন থেকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকত ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে সেটা কম দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় ২০১৯ সালেও বিশ্বের ১৫২টি দেশের মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। এ বছর হয়ত সেই পরিসংখ্যান আরও বাড়তে পারে। তবে আগের চেয়ে বর্তমানে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। আর আমাদের উত্তর-দক্ষিণের মেয়রের নির্দেশে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে দিন দিন মানুষ আরও সচেতন হচ্ছেন।

এ সময় তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা জানুয়ারি মাসেই মিটিং করেছি, সে সময় আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে মেশিন, ওষুধপত্র ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় দুই সিটিতেই পর্যাপ্ত লোকবল (মশক নিধন কর্মী) আছে কিনা আলোচনা করেছি। তারপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন উদ্যোগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বাসাবাড়ির চাইতে সরকারি অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজে এডিসের লার্ভা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সফল হবো।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।

এসআই রাজ/এসকেডি