রংপুর সার গুদাম থেকে ১৪৫ টন ২৮০ কেজি সার বেহাত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  যার আমদানি মূল্য প্রায় ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) রংপুরের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক মো. শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. বেলাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রংপুর সার গুদামে সার গণনাকালে ৩ দশমিক ১৫ টন টিএসপি, ১০ দশমিক ৯৪ টন এমওপি সার ঘাটতি পাওয়া যায়। এছাড়া ১৪ দশমিক ৩৭ টন ডিএপি সার মজুত অতিরিক্তসহ কিছু গরমিল পাওয়া যায়। মজুত সারের গরমিলের কারণে দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শামসুজ্জামানকে গত ৫ মার্চ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই দিনই সারের গুদাম সিলগালা করা হয়। এরপর গত ১৭ মার্চ আবারও সার গণনাকালে দেখা যায়, খামালের বাইরের দিকে বিন্যাস সাজানো আছে, খামালের ভেতরে সেই বিন্যাসের স্তর নেই। এছাড়াও খামালের ভেতরে বস্তা খাঁড়া করে খালি জায়গা তৈরি করে কম বস্তা ব্যবহার করে পূর্ণাঙ্গ খামাল দেখানো হয়েছে। এভাবে প্রকৃত মজুতের চেয়ে টিএসপি ৮১ দশমিক ৭০০ টন, এমওপি ৪৭ দশমিক ৮১০ টন ঘাটতি এবং ডিএপি ১৫ দশমিক ৭৭০ টন ঘাটতিসহ মোট ১৪৫ দশমিক ২৮০ টন সার ঘাটতি পাওয়া যায়। যার মোট আমদানি মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৭৪ টাকা।

এজাহারের আরও বলা হয়, সোয়া এক কোটি টাকা মূল্যের সার আত্মসাতের বিষয়টি অনুসন্ধানে প্রমাণ হওয়ায় দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

আরএম/এসকেডি