১০০ টাকার স্যালাইন এখন ৫০০
ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়েছে সিন্ডিকেট। ভাইরাসজনিত এ রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ১০০ টাকা দামে ডিএনএস স্যালাইন কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের বৃহত্তম ওষুধের বাজার হাজারী গলিতে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ১৫০ লিটার ডিএনএস স্যালাইন ও লক্ষাধিক টাকার চিকিৎসকের স্যাম্পলের ওষুধ জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে নানা অনিয়মের দায়ে ৩ দোকানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসন জানায়, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ানোর খবর পেয়ে মঙ্গলবার হাজারী গলিতে অভিযান শুরু করে প্রশাসন। অভিযানের খবর পেয়ে বেশিরভাগ অসাধু ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। বেঙ্গল ফার্মেসি ও চট্টলা ফার্মেসি নামের দুটি দোকানে ১৫০ লিটার ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়। এসব স্যালাইন পরে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। এরপর খাজা মার্কেটের একটি দোকান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার স্যাম্পল ওষুধ জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিএনএস স্যালাইনের গায়ে মূল্য রয়েছে ১০০ টাকা। কিন্তু এসব স্যালাইন কোথাও কোথাও ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাজারে আসলেই ডিএনএস স্যালাইনের সংকট রয়েছে। আমরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিব স্যারের সঙ্গে কথা বলব। বাজারে স্যালাইনের সাপ্লাই স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই দিন ভাইরাসজনিত এ রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১১৪ জন। জেলায় এ বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৪১ জনে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২৩ জনে।
এমআর/এমজে