মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
ডিসেম্বরেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
• ডিসেম্বরের পর আরও ৬শ মেগাওয়াট যুক্ত হবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে
• বর্তমানে সাত থেকে আট হাজার মানুষ কাজ করছে প্রকল্পে
• এরইমধ্যে চলে এসেছে ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ডিসেম্বরেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।
৫১ হাজার সাড়ে ৮ শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পোর্ট ও ভৌত অবকাঠামোর কাজ শেষ পর্যায়ে।
বিজ্ঞাপন
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পোর্ট ও ভৌত অবকাঠামোর কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর কাজ হয়েছে ৯০ শতাংশ।
কোরিয়ান পসকো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নির্মাণাধীন এই প্রকল্পটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
জাইকার অর্থায়নে ৭ বছর মেয়াদে ১২০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে জাপানের সুমিতোমো, তোশিবা এবং আইএইচআই কোম্পানি কনসোর্টিয়াম হিসেবে সহযোগিতা করছে। এই অঞ্চলের অর্থনীতি বিকাশের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে পসকো প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজার স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করেছে।
• সেপ্টেম্বরে ট্রায়াল রান, ডিসেম্বরেই চালুর পরিকল্পনা
মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের (পিএমডি) নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই প্রকল্পে পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। জাহাজ থেকে কয়লা নামানোর সময় মাত্র একবার ওই কয়লা দেখা যাবে। তারপর ওই কয়লা সরাসরি জেটি থেকে প্ল্যান্টে চলে যাবে। এতে পরিবেশ দূষিত হবে না।
প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের এই প্রজেক্টের দুইটা অংশ, এর একটা হচ্ছে পাওয়ার প্ল্যান্ট, আরেকটা পোর্ট। পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর পুরো কাজটা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। অউসো মারুসহ ছয়টা জাহাজ এসেছে, সেখান থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা অলরেডি আনলোড হয়েছে, এটা আমরা রিজার্ভ করেছি।
ডিসেম্বরেই ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।
নাজমুল হক বলেন, আমাদের যেটা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে করার কথা, সেটা আমরা আশা করি ডিসেম্বরেই পুরোদমে চালু করতে পারব। আর দ্বিতীয়টা আমরা চালু করার চিন্তা করছি পরের জুলাইয়ে।
তিনি আরও জানান, দুটি থেকেই ৬শ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলেও প্রতি ৬শ মেগাওয়াট থেকে ‘অন্যান্য খরচ’ হিসেবে ৬.৮% বিদ্যুৎ চলে যাবে, বাকিটা যুক্ত হবে।
• কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য ‘ব্যতিক্রমী’ আশ্রয়ণ প্রকল্প
বর্তমানে সাত থেকে আট হাজার লোক এ প্রকল্পে কাজ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। একদিকে প্রকল্পটি জ্বালানী সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়তা করবে, গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এমএসআই/এনএফ