বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। ওয়ার্ল্ড রিস্ক রিপোর্টে ২০২২ অনুযায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। তাই দেশের নগরকেন্দ্রিক দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে ৮ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। 

শনিবার (২২ জুলাই) বিআইপি কনফারেন্স হলে ‘নগর দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে করণীয়: প্রেক্ষিত ঢাকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সভায় এসব সুপারিশ করা হয়। 

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। 

বিআইপির ৮ সুপারিশ - 

• সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রণয়নকৃত ভূমিকম্প কন্টিনজেন্সি প্ল্যান বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা (অস্থায়ী আশ্রয়সমূহের যথাযথ চিহ্নিতকরণ ও এ বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধি)।

• দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি, ২০১৯ এ বর্ণিত যেসব সংস্থার কন্টিনজেন্সি প্ল্যান তৈরির কথা উল্লেখ রয়েছে তা অতি সত্বর প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

• ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করে জলাধারসমূহ চিহ্নিত করা বিশেষকরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া।

• বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-২০৩৫) এ বর্ণিত জলাধার, ও উন্মুক্ত স্থানের শ্রেণি পরিবর্তন না করা এবং উক্ত জলাধার ও উন্মুক্ত স্থানের স্থানিক এলাকা নির্ধারিত করা।

• বিল্ডিং কোড প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রস্তাবিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করা।

• পর্যায়ক্রমে সকল ধরনের পেশাজীবী নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা।

• ইলেক্ট্রনিক কন্সট্রাকশন পারমিটিং সিস্টেম কার্যকর করা।

• কাঠামো নকশা, যন্ত্রকৌশল নকশা, বৈদ্যুতিক নকশা এবং প্লাম্বিং নকশা পরীক্ষা করা ও প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিয়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাজী ওয়াছি উদ্দিন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমনসহ অনেকে।

এমএম/এমএ