সংগৃহীত ছবি

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় ১৫/২০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ (২৫)। মামলায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় আজ একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাতজন এরইমধ্যে থানায় গ্রেপ্তার রয়েছে।

বাদী এজাহারে অভিযোগ করেন, গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। পরে তিনি বিকেল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। তারপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫/৬ সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫/২০ জন গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে।

মারধরের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।

বাদী এজাহারে আরও অভিযোগ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে। এ সময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।

উপনির্বাচনের দিন সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন। মারধরের হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলমকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।

হাসপাতালে এ বিষয়ে হিরো আলমের এজেন্ট ইলিয়াস হোসেন বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ হামলা করেছে। এ নির্বাচন আমরা বর্জন করলাম।

এমএসি/জেডএস