ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ১২-১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে : ইসি
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ১২-১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর হোসেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মো. আলমগীর বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা দেখিনি। এ উপনির্বাচনে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।
স্বতন্ত্র প্রর্থী হিরো আলমের ওপর হামলা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৪টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। একটা কেন্দ্রের পরিস্থিতি দিয়ে তো বলা যায় না, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বিষয়টি হলো যে, আমরা সঠিক অবস্থাটা এখনো জানতে পারিনি। আমরা বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। কিছু আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি, কিছু আমাদের সোর্সের মাধ্যমে জেনেছি।
ইসি আলমগীর বলেন, তিনি (হিরো আলম) অনেক সমর্থকসহ কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে আরও অনেক ইউটিউবার ছিলেন, প্রায় ৭০ জনের মতো। তখন তাকে গেটে আটকে দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, আপনার এজেন্ট বা চার পাঁচজন নিয়ে ঢুকতে পারবেন। বাকিদের কেন্দ্র থেকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভোটকেন্দ্রে কোনো কিছু হয়নি। তিনি যখন রাস্তায় এসেছেন, তখন ওনাকে কে বা কারা ধাওয়া দিয়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বনানী বিদ্যা নিকেতন ও শাহজাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগে এ কমিশনার বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। অনেকগুলো কেন্দ্রে আমরা গিয়েছি। এখন আপনারা এ অভিযোগ করছেন। কেন্দ্রে তো ইউটিউবাররা ঢুকতে পারেন না। ঢুকতে পারেন সাংবাদিক, যাদের ইসি কার্ড দিয়েছে। ১২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটা কেন্দ্রে তো এমন হতেই পারে, এজন্য ভোট সুষ্ঠু হয়নি বলা যাবে না।
এর আগে, দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হলেও বিকেলে শেষ মুহূর্তে এসে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে মারধরের শিকার হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম।
এদিকে, হিরো আলম মারধরের শিকার হওয়ার পরপরই নির্বাচন ভবন ছাড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় আজ (সোমবার)। এ নির্বাচনে হিরো আলম ও আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ এ আরাফাতসহ ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসআর/কেএ