চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। তবে দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মাঠে কাজ করায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীটির সদস্যদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহেও পুলিশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ এর নিচে থাকলেও বর্তমানে প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৫০ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের মোট ১৯ হাজার ৫০১ জন সদস্য এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২০, ২১ এবং ২২ মার্চ পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭, ২৪ এবং ৭ জন। তবে চার দিনের ব্যবধানে ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ মার্চে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৫৩, ২৪, ২৬ এবং ৪৯ জন।

সর্বশেষ ৩০ মার্চ ভোরের তথ্যানুযায়ী, চলমান করোনাযুদ্ধে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ও সংযুক্ত মোট ৮৮ সদস্য মারা গেছেন। সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের সদস্যরা। আক্রান্তদের মধ্যে র‍্যাব সদস্যের সংখ্যা ২ হাজার ৫৫০ জন।
 
করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৩ হাজার ২৭৪ সদস্য রয়েছেন। সুচিকিৎসা ও সুনিবিড় পরিচর্যায় গত শনিবার পর্যন্ত ১৯ হাজার ১৮ জন পুলিশ সদস্য করোনাজয় করে সুস্থ হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মোট ২৩৪ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা। 

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহে এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে’।

পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সব পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে।

এআর/জেডএস