ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইন্টারনেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার আহ্বান
দেশে গত দুই-তিন দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের গতি কমিয়েও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (২৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২৫ মার্চ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রকার অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল এ কথা ঠিক। তারই ধারাবাহিকতায় সেদিন দিবাগত রাত থেকে দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত দুটি অ্যাপস, বিশেষ করে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার বন্ধ করা হয়েছে বা ক্ষেত্রবিশেষে রেশনিং করা হয়েছে। যদিও বিশেষ প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যক্তি এবং কিছু অপব্যবহারকারী বিভিন্ন মাধ্যম, বিশেষ করে ভিপিএন দিয়ে এ মাধ্যম দুটি ব্যবহার করে আসছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন সাধারণ ব্যবহারকারীরা। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ। করোনা মহামারি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর থেকে এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্য, টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদ, বিনোদন ও অনলাইনে খবর পড়া- সবই পরিচালিত হচ্ছে। এই মাধ্যমটি ব্যবহার না করার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে টেলিমেডিসিন, ই-কমার্স ও শিক্ষা খাত।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ কথা ঠিক যে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৬ (ক) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করার বিরুদ্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এমনকি চিহ্নিত অপরাধীকে ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছরের জেল দিতে পারে। কিন্তু দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিচার-বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া, চিকিৎসা, বাণিজ্যসহ সামগ্রিক দিক বিচার-বিবেচনা করে দ্রুত এসব মাধ্যমকে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি। কিছু অপব্যবহারকারীর কারণে দেশের সামগ্রিক ব্যবহারকারীরা জিম্মি হতে পারেন না। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত ফেসবুক ও মেসেঞ্জার মাধ্যম দুটিসহ ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি যেন ফিরিয়ে আনা হয়।
এএসএস/এসএসএইচ