কমনওয়েলথের সমষ্টিগত শক্তি কাজে লাগাতে হবে : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সদস্য দেশগুলোর কল্যাণের জন্য সাধারণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে কমনওয়েলথ বৈশ্বিক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের দিকে কমনওয়েলথকে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে ‘রিডিসকভারিং কমনওয়েলথ ফর ডেলিভারিং এ কমন ফিউচার’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান প্যানেলিস্ট হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন, ইয়ুথ পলিসি এবং ডেইলি স্টারের উদ্যোগে এ ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বায়নের যুগে মানবজাতি অনেকগুলো উদীয়মান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কোভিড পরবর্তী নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলা, নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, লিঙ্গসমতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমনওয়েলথকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে অভিনব ধারণা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যে সব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাদের দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে। এজন্য সবার সম্মিলিত প্রয়াস একান্ত প্রয়োজন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথ সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৫ এর মে মাসে জ্যামাইকার কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক অসমতা নিরসনে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তারই সূত্র ধরে উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনে কমনওয়েলথ কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর সমষ্টিগত শক্তিকে এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সবুজ ও নিরাপদ পৃথিবী বিনির্মানে গুরুত্বারোপ করেন। তার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে জাতি উন্নীত হয়েছে। কোভিডকালীন তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও দুরদর্শিতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, যা অনুকরণীয়।
স্পিকার বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে থাকে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ)। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ২০১৪ সালে তিন বছরের জন্য সিপিএ নির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিল, যা ছিল অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও অনন্য অভিজ্ঞতা। কমনওয়েলথের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং কমনওয়েলথ বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করছে।
ওয়েবিনারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, অধ্যাপক সালিমুল হক, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান প্যানেলিস্ট হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। ওয়েবিনারে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এইউএ/এসএম