টিকিটধারী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে স্টেশন এলাকায় প্রবেশের জন্য তিন স্তরের চেকিং ব্যবস্থা নিয়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৫ জুন) সেই চেকিং ব্যবস্থার দুটি অকার্যকর হলেও বর্তমানে তিনটি চেকিং ব্যবস্থায়ই কার্যকর হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আরও দেখা গেছে, চেকিং ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রতিটি চেক পয়েন্টে যোগ দিয়েছেন রোভার স্কাউটের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে আছেন ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার (টিটিই) ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা। যেসব যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট নেই তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে টিকিট কাউন্টারে। সেখান থেকে প্রদান করা হচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকিট।

এদিকে ঈদ ঘনিয়ে আসায় স্ট্যান্ডিং টিকিট কাউন্টারে মানুষের ভিড় বেড়েছে। এর পাশাপাশি বেড়েছে হাতে লেখা টিকিটের সংখ্যাও। প্রথম চেক পয়েন্টের সামনে থেকে অন্তত তিন থেকে চারজন করে মানুষ স্ট্যান্ডিং টিকিট নিচ্ছেন। টিকিট কাউন্টার থেকে যথাসম্ভব টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা মন্তব্য করেছেন।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী সুমন হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যখন অগ্রিম টিকিট দিয়েছে তখন কিনতে পারিনি। আজকে সকাল থেকে লাইনে ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিট পেলাম। কাউন্টারের লোকজন অনেক ভালো। তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করছেন যাত্রীদের টিকিট দিতে।

দেওয়ানগঞ্জের যাত্রী কাসেম বলেন, গেট দিয়ে ঢোকার সময় পুলিশ দাঁড় করিয়েছে টিকিট নাই বলে। পরে এক টিটিই টিকিট কেটে দিলেন। এরা মাঝে মধ্যে কিছু টাকা বেশি নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে রোভার স্কাউটের সদস্যরা জানিয়েছেন, যাত্রীদের টিকিট চেক করতে ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে অফিস থেকে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা টিকিট চেক করতে গিয়ে যদি কোনো অসুবিধায় পড়েন, তবে সেক্ষেত্রে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।

এমএইচএন/কেএ