বৃষ্টি উপেক্ষা করে সায়েদাবাদে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তাই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও এর আশেপাশের বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।
বাস কাউন্টারগুলোতে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার (২৬ জুন) বিকেল থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ ব্যাপক হারে বেড়েছে। মানুষের বাড়ি ফেরার সুযোগ নিয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন কোনো কোনো যাত্রী।
বিজ্ঞাপন
সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও যাত্রাবাড়ীর বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের সুপারভাইজার মো. সোহাগ বলেন, অফিস-আদালত ছুটি হয়ে যাওয়ায় আজ বিকেল থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত ঘরমুখো যাত্রীদের এই চাপ থাকবে বলে জানান তিনি। এই পরিবহনে যাত্রী নজরুল ইসলাম বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন ঢাকা পোস্টের কাছে। তিনি বলেন, আগে ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে লাকসামে গিয়েছি। ঈদের কারণে ৪০০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।
ঢাকায় বিটিসিএল অফিসে চাকরি করেন লক্ষ্মীপুরের কামাল হোসেন। তিনি পরিবারসহ ঈদ করতে যাচ্ছেন। বৃষ্টির মধ্যে জোনাকী সার্ভিস লাইন পরিবহনের কাউন্টারের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছি। আজই অফিস ছুটি হয়েছে। তাই দেরি না করে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছি। বৃষ্টিতে ভিজেছি। এতে কষ্ট নেই। সবার সঙ্গে ঈদ করতে পারব এটাই আনন্দের।
একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন সোনিয়া আক্তার। মাসহ ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী যাচ্ছেন। সোনিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ছুটি পেয়েছি। এ কারণে রাতে রওনা হয়েছি। গ্রামে ভাই-বোন আছে। সবাই মিলে একসঙ্গে ঈদ করব।
জানতে চাইলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের শ্যামলী পরিবহনের ৬ নম্বর কাউন্টারের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আরিফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দুপুরের পর থেকেই যাত্রীদের চাপ বেশি। সন্ধ্যার পর তো যাত্রীদের চাপ আরও বেড়েছে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, শ্যামলী পরিবহন দেশের প্রায় ৫০টি জেলায় যাত্রী পরিবহন করে থাকে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষ্যেও শ্যামলী পরিবহনের ভাড়া বাড়েনি বলে জানান তিনি।
এমএইচডি/জেডএস