কৌশলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে বিক্রি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ফাতেমা তুজ জোহরা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

গত সোমবার খুলনার দৌলতপুর ও পাইকগাছা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

শুক্রবার (২৩ জুন) এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, একটি চক্র কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তির আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে বিক্রি করত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে এসব ভিডিওর বিজ্ঞাপনও দিত তারা। এরা কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তির আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা ছাড়াও নিজেরা পর্ণো ভিডিও তৈরি করতো। ভিকটিমদের ব্ল্যাকমেইল করেও হাতিয়ে নেওয়া হতো কোটি কোটি টাকা। গত ১১ জুন রাজধানীর ভাটারা থানায় পাঁচ কোটি টাকা দাবি করার অভিযোগে মামলা করেন এ চক্রের শিকার এক ভিকটিম। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমকে। মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে খুলনার দৌলতপুর ও পাইকগাছা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের মোবাইল ফোন ও ম্যাসেঞ্জার পর্যালোচনায় বিভিন্ন ব্যক্তির আপত্তিকর ভিডিও বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, দুবাই, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ও হিন্দি ভাষাভাষী ব্যক্তির কাছে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, অনেকেই এ চক্রের শিকার হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে তা প্রকাশ করেন না। যার কারণে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় না।

এ ধরনের কোন চক্রের ফাঁদে কেউ পড়লে তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন ডিবিপ্রধান।

এমএসি/এসএম