হেফাজতের হরতালের প্রভাব বইমেলায়
হেফাজতে ইসলামের হরতালের প্রভাব পড়েছে অমর একুশে বইমেলায়। রোববার (২৮ মার্চ) বিকেলে মেলা ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীর আনাগোনা খুবই কম। লেখক-প্রকা্শক এবং বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। তাদের দাবি, হরতাল ছাড়াও এবার মেলা সত্যিকার অর্থেই অসময়ে পড়ে গেছে।
প্রকাশকরা বলছেন, পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, এবার স্টলের খরচ তোলাই কষ্ট হবে।
শোভা প্রকাশের প্রকাশক মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেলা তো নয়, মনে হচ্ছে চিড়িয়াখানা। লোকজন এমনিতে নেই, আবার হরতাল। অসময়ে একটা মেলা দেয়া হয়েছে। প্রকাশকদের জন্য খুব খারাপ একটি মেলা হতে যাচ্ছে এবার। দিনে দুই হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না কোনো কোনো প্রকাশনীর স্টলে।
বিজ্ঞাপন
অনুপম প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘লোকজন কীভাবে আসবে, পরিস্থিতি তো ভালো না। একদিকে করোনা, একদিকে গরম, এরমধ্যে আবার হরতাল। আমাদের অবস্থা এবার খারাপ’।
বিক্রয়কর্মী শিলা আক্তার বলেন, এবার মেলায় বিক্রি নেই বললেই চলে। শুক্রবার ২৬ মার্চ যা একটু লোকজন ছিল, কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা একেবারেই নেই। আর আজ হরতালের কারণে মেলা পুরোটাই ফাঁকা।
দর্শনার্থী সায়মা আফরিন বলেন, ‘বাসা কাছে থাকায় (আজিমপুর) এসেছি, না হয় হয়ত আমিও আসতাম না। বই মেলার প্রতি আলাদা ভালোবাসা কাজ করে তাই আসি।’
আজ মেলার দ্বাদশতম দিন, মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বাংলা একাডেমির তথ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আজ নতুন বই এসেছে ১২২টি। মেলায় সর্বমোট নতুন বই এসেছে ১৩৮১টি।
আজকের অনুষ্ঠানমালা
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে শুরু হয় 'দ্বিশততম জন্মবার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিষয়ক' সেমিনার। এতে প্রবন্ধ পাঠ করেছেন মাসুদুজ্জামান এবং আলোচক ছিলেন রাজীব সরকার ও মাসুদ রহমান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আবুল আহসান চৌধুরী।
আগামীকালের অনুষ্ঠানমালা
আগামীকাল ২৯ মার্চ (সোমবার) অমর একুশে বইমেলার ১৩তম দিন। মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে 'জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: শিবনারায়ণ রায়, সত্যজিৎ রায়' বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রবন্ধ পাঠ করবেন, সাজেদুল আউয়াল ও সাইফুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে থাকবেন, বিধান রিবেরু ও তপন বাগচী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।
এইচআর/জেএস