ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা রাখা হবে। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যারা যাবেন বা ঢাকা ছাড়বেন তাদের নগদ টাকা, গয়না ব্যাংক বা আত্মীয়ের বাসায় রেখে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, পরিবহন, হাট মালিক, ইজারাদার ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। 
 
গোলাম ফারুক বলেন, ফাঁকা ঢাকাতে যাতে চুরি-ডাকাতি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেব। ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ করব, আপনারা যখন ৪/৫ দিনের জন্য বাসা ফাঁকা রেখে গ্রামের বাড়িতে যাবেন, তখন দয়া করে মূল্যবান বস্তু অর্থাৎ নগদ টাকা এবং গয়না খালি বাসায় না রেখে ব্যাংকে রাখেন বা নিকট আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধব বা যারা থাকবেন তাদের কাছে জমা রেখে যাবেন। ফাঁকা বাসায় কোনো দুষ্কৃতকারী যদি ঢোকে তাহলে মূল্যবান বস্তু চুরির ভয় থাকবে না।

কমিশনার বলেন, প্রত্যেক বাসায় যারা পাহারায় দায়িত্বে থাকেন, তাদের নম্বর নিয়ে আসব, আমাদের নম্বর দেবো। সিসি ক্যামেরাগুলো সচল আছে কি না তা চেক করা হবে। আমাদের কমান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা আশ করছি, এবার স্বস্তিতে যানজটমুক্তভাবে মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবে। যেসব রাস্তা ভাঙা আছে, সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। ঢাকার গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদে আমাদের স্পেশাল ব্যবস্থাপনা থাকবে।

তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আমাদের অবহিত করবেন। আমরা এসব বিষয় মনিটর করব।

মহাসড়কের পাশে গরুর হাট বসানো প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, হাইওয়ের পাশে গরুর হাট কোনোমতেই বসতে দেওয়া হবে না। কেউ বসালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঈদ জামাতের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ঈদের জামাতে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রত্যেকটা এলাকায় ফুট ও মোবাইল পেট্রোল থাকবে। রিজার্ভ পুলিশ থাকবে।

প্রতি বছরই ঈদের আগে বেতন-বোনাসের জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ, রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। এবার পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করতে বলা হয়েছে কারখানা মালিকদের। অনলাইন কেন্দ্রিক কেনাকাটায় প্রতারণা যাতে না হয় সেজন্য আমাদের নজরদারি থাকবে। 

জেইউ/এনএফ