বিভিন্ন জটিলতায় স্থগিত হওয়া তিনটি পৌরসভা এবং ভোটগ্রহণের সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য স্থগিত থাকা দুইটি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৮ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব (আইন) মো. আবু ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৮৬-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। 

বিধিমালার বিধি ৭২, বিধি ৭৪, বিধি ৭৫, বিধি ৭৬, বিধি ৭৭ এর উপবিধি (১) এবং বিধি ৭৮ এর অধীন নির্বাচনী অপরাধগুলো আমলে নেওয়া এবং তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্নের লক্ষ্যে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের পাঁচজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ভোটগ্রহণের আগের দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুদিন এই পাঁচদিনের জন্য প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে

সুজানগর পৌরসভার জন্য পাবনা জেলার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান আল আজাদ, ঠাকুরগাঁও সদর পৌরসভার ৭ নং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের ভোটগ্রহণের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. রমেশ কুমার ডাগা, শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীর, যশোর সদর পৌরসভার জন্য যশোর জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম এবং কালকিনি পৌরসভার জন্য মাদারীপুর জেলার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি।

এসআর/জেডএস