প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে ইলেকশন হবে, তাই অনেকেই এখানে প্রার্থী হতে পারে। প্রার্থী যদি হয়, শত ফুল ফুটতে দিন, সেখান থেকে যে ফুলটি সুন্দর সেটি আমি বেছে নেব।

বুধবার (২১ জুন) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর নিয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবং ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে পরিচ্ছন্ন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে ইলেকশন হবে, তাই অনেকেই এখানে প্রার্থী হতে পারে। প্রার্থী যদি হয়, তাহলে শত ফুল ফুটতে দিন, সেখান থেকে যে ফুলটি সুন্দর সেটা আমি বেছে নেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিকভাবে সামনে ইলেকশন এলে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকেরই আকাঙ্ক্ষা থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন যখন হবে কাকে প্রার্থী করা হবে, কাকে প্রার্থী করা হবে না, আমাদের দলেরও একটা লক্ষ্য থাকে। অবাধ নিরপেক্ষ স্বচ্ছ নির্বাচন হোক এটা সবসময় আমাদেরই দাবি। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর প্রতিটি নির্বাচনের কথা চিন্তা করে দেখেন মানুষের কোনো ভোটাধিকার ছিল না। আমরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে জনতার ক্ষমতা জনতার হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। ইলেকশন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এই সর্বপ্রথম একটি স্থিতিশীল পরিবেশ এবং ধারাবাহিক গণতন্ত্র অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নতি হয়েছে, একটা জায়গায় গেছে, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। মানুষের মধ্যে একটা আস্থা বিশ্বাস আছে। দারিদ্র্য বিবোচন হয়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে সব দিক থেকে উন্নতি হয়েছে।

এএসএস/জেডএস