চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। 

মঙ্গলবার (২০ জুন) শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হকের সই করা বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে এ ঘটনায় দ্রুত প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) হস্তক্ষেপ কামনা করে চবি শিক্ষক সমিতি।

এ ঘটনা নিয়ে গত ১১ জুন ‘একই ঘটনায় দুই ধারায় মামলা, চবি শিক্ষককে ফাঁসাতে চান ওসি!’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  

শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার গ্রামে চবি শিক্ষক তারেকের বাড়িতে ২৭ মে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতকারীরা বর্বরোচিতভাবে তার বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। তার পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যসহ চারজনকে আহত করেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আনোয়ারা থানার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা হামলাকারীদের সঙ্গে যোগসাজশে তাদের পক্ষ হয়েই চবি শিক্ষক মো. তারেকসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা রুজু করেছেন। যা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অথচ ঘটনার সময় জনাব তারেক চৌধুরী চট্টগ্রাম শহরেই অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনার পর থেকে ঘটনার শিকার হওয়া উক্ত শিক্ষক ও তার পরিবার আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘটনার তিন দিন পর, ৩০ মে হামলাকারীদের পক্ষাবলম্বন করে আনোয়ারা থানা পুলিশ উক্ত শিক্ষক এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩২৫ ও ৩২৬ ধারার মতো জামিন অযোগ্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করে মিথ্যা মামলা রুজু করে। এটিকে চবি শিক্ষক সমিতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও আইনের শাসনের পরিপন্থি বলে মনে করছে। চবি শিক্ষক ও তার পরিবারকে এভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছে। উক্ত শিক্ষক পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার এবং শিক্ষকের বাড়িতে হওয়া সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষক পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের হস্তক্ষেপ কামনা করে শিক্ষক সমিতি।

এমআর/এনএফ