গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেছেন, ঋণ খেলাপিদের কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা না দিতে আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। বিরোধীদল অভিযোগ করছে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে। সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আমি বিরোধী দলকে আহ্বান জানাব, আপনাদের কাছে তালিকা থাকলে সেই তালিকা প্রকাশ করুন।

রোববার (১৮ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, ঋণ খেলাপি যারা আছেন বাংলাদেশ সরকার যাতে কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা না দেয় সেজন্য আমিও আহ্বান জানাই। তাদের তালিকা প্রকাশ করুন, যদি সরকার ব্যর্থ হয়, আপনারা প্রকাশ করুন। বিরোধীদল অভিযোগ করছে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে, আমি আহ্বান জানাব বিরোধীদলকে, আপনাদের কাছে যদি তালিকা থাকে সেই তালিকা প্রকাশ করুন। জনগণ দেখবে কারা কারা বিদেশে পাচার করেছে। তারা (বিএনপি) সেটি না করে যাতে আগামী নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবে সাংবিধানিক পন্থায় না হয় সেজন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে। তারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করতে পারছে না। জেনারেল জিয়ার মতো স্বৈরাচারী এরশাদও জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। আমরা এই দুই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই দেশে গণতন্ত্র এনেছি।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি একটি গণমুখী বাজেট। যদিও বিরোধীরা সমালোচনা করেন। আমাদের দেশে তো একটি রেওয়াজ আছেই। সরকারি দল যখন বাজেট ঘোষণা করে বিরোধীদল তার বিরোধিতা করবেই। মিছিলের জন্য আগে থেকেই লোক তৈরি থাকে। বিজ্ঞপ্তি আর বিবৃতি রেডি থাকে যে 'গণবিরোধী বাজেট'।

এ সংসদ সদস্য বলেন, ফ্যাসিবাদী জিয়াউর রহমানের সেই দল, জোর করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে যে দলের সৃষ্টি তার নাম বিএনপি। সেই বিএনপি বেসিক্যালি নো পার্টি। একটি ক্লাবে রূপান্তরিত যে দল সেই দল সরকার যাই করছে তার বিরুদ্ধে বলছে। তাদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে তারা এগুচ্ছে? বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা আজকে সরকারের ভালো দিকটা সমালোচনা না করে অন্তত পক্ষে বলা উচিত ছিল এই সরকারের এই এই কাজগুলোকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু সেটা তারা না করে সরকারের বিরুদ্ধে বলেই যাচ্ছেন।

এসআর/এসকেডি