২০২০ সালে নাটোর সদরের চরতেবাড়িয়া এলাকায় এক কিশোরীকে অপহরণসহ ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রোববার(১১ জুন) রাতে পাবনা জেলার সদর থানাধীন পৈলানপুর চৌরাস্তা হতে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩ এর একটি দল। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, নাঈম (২৪), হালিমা খাতুন (৪২) ও আম্বিয়া বেগম (২০)।

র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর নাটোর সদরের চরতেবাড়িয়া এলাকার এক কিশোরীকে নাঈমের নেতৃত্বে কয়েকজন তরুণ মিলে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাবনায় নিয়ে যান। সেখানে একটি বাড়িতে আটকে রেখে ভুক্তভোগী কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। 

কিছুদিন পর নাঈম ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে তারা ওই কিশোরীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে রাজি হতে বাধ্য করেন। 

ঘটনার একমাস পর ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী কিশোরী এই অশ্লীল কাজে জড়াতে অস্বীকৃতি জানালে নাঈমের প্রধান দুই সহযোগী হালিমা ও আম্বিয়া মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে ঘরে ফেলে রাখেন। আম্বিয়া নাঈমের বিবাহিত স্ত্রী ও হালিমা তার নিকটাত্মীয়। 

এক পর্যায়ে জ্ঞান ফিরলে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন ভুক্তভোগী কিশোরী। পরে তার পরিবারের নিকট সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। 

এরপর ১১ ডিসেম্বর নাটোর সদর থানায় নাঈম, হালিমা এবং আম্বিয়াসহ ছয়জনের নামে একটি অপহরণ ও অশ্লীল কাজে বাধ্য করাসহ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা।

মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিজ্ঞ আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক থাকা নাঈম, হালিমা ও আম্বিয়াকে গত রাতে (রোববার) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩ এর একটি দল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেইউ/কেএ