ফাইল ছবি

বঙ্গভবনের মতো সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৩০ শতাংশ বিশেষ ভাতা দেওয়াসহ ৬ দাবি জানিয়েছে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

বৃহস্প‌তিবার (৯ জুন) সংগঠনটির মহাসচিব মো. তোয়াহার সই করা একটি আবেদনপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। সেখানে এসব দাবির কথা উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছয়দফা দা‌বি পূরণ না হ‌লে কিংবা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া হলে আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আবেদনে বলা হয়, জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ বাস্তবায়নের পর তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ দিশাহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য চার-পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেলেও গত আট বছর ধরে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা না করায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পায়নি।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করায় বাজেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত দাবিগুলোর মধ্য থেকে জরুরিভিত্তিতে উল্লেখযোগ্য ছয়টি দাবি বাস্তবায়নের জন্য পুনরায় অনুরোধ করছি-

১. জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করতে হবে।

২. জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।

৩. বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পাঁচ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।

৪. চিকিৎসাভাতা, শিক্ষাভাতা, যাতায়াতভাতা ও টিফিনভাতাসহ অন্যান্য ভাতা দ্বিগুণ করতে হবে।

৫. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৬. বঙ্গভবনের মতো সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৩০ শতাংশ বিশেষ ভাতাসহ অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

এসএইচআর/এমজে