পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। 

রোববার কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি এবং ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশকে এখন অনেক দেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এক্ষেত্রে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের উন্নয়ন যারা পছন্দ করে না তাদের অনেকেই দেশে বিদেশে অপপ্রচার ও গুজব রটাচ্ছে মন্তব‌্য ক‌রে মো‌মেন এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে প্রবাসীদের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে মো‌মেন বলেন, আমাদের দেশে মানুষ এখন অনেক ভালো আছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা স্বাস্থ্য খাতেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছেন যেখানে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ কারণে শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু অনেক কমে গেছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এছাড়া দেশে এখন শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে।

তি‌নি ব‌লেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব দেশেই মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। আমাদের দেশেও কিছুটা বেড়েছে। তবে আমরা ধনী দেশ না হলেও করোনাকালে গরিব মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, সরকারের এসব অর্জন ধরে রাখতে হলে আমাদের দেশে স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। আমরা যদি স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারি তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে কেনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ড. মোমেন দ্বিতীয় ইউএন-হ্যাবিটেট সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে কেনিয়ার নাইরোবিতে রয়েছেন।

এনআই/এমএ