রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে শারমিন আক্তার (২৫) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ভোররাতে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শারমিন আক্তারের স্বামী কবির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার সাত বছরের একটি ছেলে আছে। সে ক্যানসারে আক্রান্ত। আমি একজন শেফ। রাতে আমার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সে ছেলেকে ধরে অনেকক্ষণ কান্নাকাটি করে। পরে রাত দুইটার দিকে সে গোসল করে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে শুরু করে। সেই সময় আমার ঘুমে চোখ লেগে যায়। তখন ঘরের দরজার সিটকানি বাহির থেকে লাগিয়ে পাশের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে। পরে আমি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত  ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভাটারা থানার আবাসিক এলাকার এ ব্লকের ১৩৮/৩ বাসায় ভাড়া থাকি। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার উত্তর পাইং ডং গ্রামে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ভাটারা থানাকে জানিয়েছি, বিষয়টি তারাই তদন্ত করছে।

এসএএ/এমএ