আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপে একক প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তথা ভোট ছাড়াই ৭৩ জন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম প্রকাশ করা হয়। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন ছাড়াও প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ৬৩ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য (মহিলা মেম্বার) পদে ছয় জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

জানা গেছে, ১৯ জেলার ৬৪ উপজেলার ৩৭১ ইউপিতে প্রথম ধাপে ভোট হবে আগামী ১১ এপ্রিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ মার্চ মনোনয়ন জমার শেষ সময় ছিল, বাছাই ছিল ১৯ ফেব্রুয়ারি, গতকাল (বুধবার) ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ সময়। এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ২৭২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৮৫ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯৫ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউপিতে তিন পদে (চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য) নির্বাচনে লড়বেন ১৯ হাজার ২১২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ৪৩৭, সাধারণ সদস্য পদে ১৩ হাজার ৫৯৪ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে চার হাজার ১৮১ জন নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ৭৫২, সাধারণ সদস্য পদে ১৪ হাজার ৪৩৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে চার হাজার ৩০৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

বাছাইয়ে চেয়ারম্যান পদে ৭০, সদস্য পদে ২২৫ এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৮ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। এরপর চেয়ারম্যান পদে বৈধ মনোনয়নের বিরুদ্ধে ১৩টি ও বাতিলের বিরুদ্ধে ৩৬টি আপিল করা হয়। ৩৭টি আপিল গ্রহণ করা হয়। আপিলে ১২টি মনোনয়ন বাতিল হয়। আপিলের পর চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৭০৯ জন।

সাধারণ সদস্য পদে বৈধ মনোনয়নের বিরুদ্ধে ১৮টি ও বাতিলের বিরুদ্ধে ১০২টি আপিল করা হয়। আপিলে ৮৩টি আবেদন গ্রহণ করা হয়। এতে ২৭টি আবেদন বাতিল করা হয়। পরে এই পদে মোট বৈধ প্রার্থী থাকে ১৪ হাজার ২৭৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে বৈধ মনোনয়নের বিরুদ্ধে তিনটি ও বাতিলের বিরুদ্ধে ২৮টি আপিল আবেদন পড়ে। ২৫টি আবেদন গ্রহণ করা হয়। আপিলে দুটি মনোনয়ন বাতিল করা হয়। আপিলের পর এই পদে বৈধ প্রার্থী থাকে চার হাজার ২৭৬ জন।

এসআর/এফআর