বিদায়ী দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেছেন, সংস্থাটির বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গত পাঁচ মাসে কোনো ব্যক্তিকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেননি এবং কানাডাতে তার কোনো বাড়ি নেই।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

খুরশিদ আলম খান বলেন, ইকবাল মাহমুদ কোনো ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেননি। অব্যাহতি দেওয়ার কোনো ক্ষমতা তার নাই। এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। কমিশন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি বলেন, কোন মামলার কার্যক্রম চলবে, কোনটা পরিসমাপ্তি হবে, কোনটার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হবে কিংবা হবে না, এই সব সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। একক ব্যক্তি ইকবাল মাহমুদ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। আইনও সেটা সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ মাসে দুদক কতগুলো মামলার অনুসন্ধান কাজ শেষ করেছে, কতগুলোর ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে, আদালতের নির্দেশে আগামী ১১ এপ্রিল এফিডেভিট করে তা দাখিল করা হবে।

গত ১৬ মার্চ দুদকের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ শেষ পাঁচ মাসে কতজনকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দিয়েছেন তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দুদককে তাদের নাম, ঠিকানাসহ তালিকা আগামী ১১ এপ্রিল হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদককে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে ‘দুদকে অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ ৫ মাসে তিনি ২ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।’

২০১৬ সালের ১০ মার্চ  ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। চলতি বছরের ১০ মার্চ তিনি অবসরে যান।

এমএইচডি/এমএইচএস