সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে সৃষ্ট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- মতিঝিল বিভাগের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি-পেট্রোল), পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক, মতিঝিল থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও একজন কনস্টেবল।

বাকি ৩ পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), মতিঝিল জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মতিঝিল-পল্টন এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত পুলিশ ৭ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি তিন সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে সংঘর্ষে ১০-১৫ জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে মুক্তাঙ্গনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে মিছিলটি নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের দিকে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।

এ বিষয় সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আটকদের নাম-পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএসি/এমএইচএস