ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ঢাকায় মোদিবিরোধী মিছিলে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। রাজধানীর শাপলা চত্বরে পুলিশের সঙ্গে হওয়া সংঘর্ষে আহত আবুল কালাম আজাদকে (৪০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান (৩৫)।

এর আগে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন তামজিদ ও সুবর্না। এ সময় ঢামেক হাসপাতালে বিক্ষোভকারী ২৫-৩০ জন এসআই রায়হানকে মেরে নাক ফাটিয়ে তামজিদ, সুবর্না ও আবুল কালাম আজাদকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও মোদিবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে এসআই রায়হান বলেন, ‘মোদিবিরোধী আন্দোলন থেকে আটক একজনকে চিকিৎসা দিতে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় আগে থেকেই আহতদের সঙ্গে থাকা ঢামেকের জরুরি বিভাগে ২৫-৩০ ছাত্র আমাকে দেখে উত্তপ্ত হন। এক পর্যায়ে তারা আমাকে মেরে ও নাক-মুখে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে আবুল কালাম আজাদসহ তামজিদ ও সুবর্নাকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে চলে যান।’

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে শুরু হয়। এতে সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শাপলা চত্বরে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাব, ইট ছুড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল ছোড়ে। সংঘর্ষে পুলিশের কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হয়। এছাড়া ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের এডিসি নুরুল আমিন বলেন, ‘তারা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বর এলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে, এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে, রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে নিয়ে গেছে পুলিশ। তবে তাকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এফআর/এফআর