বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশে (বিজিপি) মধ্যে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে রিজিওন কমান্ডার পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী (২৪-২৫ মে) এ সীমান্ত সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হয়।

সম্মেলনে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির কক্সবাজারের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব। অপরদিকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের কমান্ডার বি. জে হেটিট লুইনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসূ এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি অবহিত করেন।

তিনি মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপিকে তাদের সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল আশ্বস্ত করে।

এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমন ও দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহতকরণ, মিয়ানমার কর্তৃক সীমান্তে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) স্থাপন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চুক্তি-১৯৮০ অনুযায়ী অসতর্কতা/ভুলবশত অথবা ঝড়ের কবলে পড়ে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের ফলে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ফেরত প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত ও সহজীকরণ, সীমান্তের নানাবিধ সমস্যা নিরসনকল্পে উভয় দেশের বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস (বিএলও) এর কার্যক্রম পূর্ণরূপে সক্রিয়করণ, উভয় বাহিনীর মধ্যে তড়িৎ যোগাযোগ স্থাপনে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা ও পিলার পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

সম্মেলনে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা, সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল, মানব ও মাদক পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার লক্ষ্যে উভয় ডেলিগেশন প্রধান স্ব স্ব সীমান্ত রক্ষী বাহিনী একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জেইউ/এসকেডি