গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে আসা ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্রে জানা যায়, এই কেন্দ্রে মোট ১৮০৮ ভোটের মধ্যে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২৯৩, জায়েদা খাতুন (টেবিল ঘড়ি) ৫৩২, আতিকুল ইসলাম (মাছ) ২৪, নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল) ৩১, গাজী আতাউর রহমান (হাত পাখা) ২৪, রাজু আহমেদ (গোলাপ ফুল) ৬টি, মো. হারুনুর রশিদ (ঘোড়া) ১টি, সরকার শাহনুর ইসলাম (হাতি) ১২টি ভোট পেয়েছেন।

আজ এই কেন্দ্রে ১৮০৮ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৯২৭টি। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে বেসরকারিভাবে ২৩৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ (ইভিএম) শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়।

ভোট চলাকালীন রানী বিলাসমণি কেন্দ্রে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এদিন বেলা এগারোটার দিকে পুরুষ বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের এজেন্টদের ভোট দিতে আসা একজনকে মেরে গালিগালাজ করে বের করে দিতে দেখা যায়।

এসময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদেরও বাধা দেওয়া হয়। পরে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

সকালে এক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। 

আজমত উল্লা খান বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে মানুষ ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়েছে। ভোটের যে কোনো ফলাফল অবশ্যই মেনে নেব। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। সবসময় জনগণের অপিনিয়নের প্রতি আমি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আসছি। আজ জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমি সেটা অবশ্যই মেনে নেব। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম।

সিটি কর্পোরেশনের ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৩৩৩ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী আছেন। এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে এই নগরের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছে ১৮ জন।

এমএসআই/এমজে