বিমানবন্দরে লোটে শেরিংকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ফাইল ছবি

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা হন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লোটে শেরিংকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে ঢাকায় আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভ্যর্থনা জানান।

বিমানবন্দর থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। ওই দিন বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আয়োজনে নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন লোটে শেরিং।

পরদিন বুধবার (২৪ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে। পরে তাদের নেতৃত্বে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছান দুই প্রধানমন্ত্রী।

এদিন বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন লোটে শেরিং। সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃষি, হর্টিকালচার এবং মৎস্য খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেন লোটে শেরিং। বক্তৃতায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বাড়ি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাতৃতুল্য বলে সম্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গর্বিত বুকে বিশ্বকে বলার মতো একটি গল্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে দিয়ে গেছেন।

এনআই/এসএসএইচ