বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেবে না বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশের এতগুলো সংবাদমাধ্যম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার বিরুদ্ধে যার যা খুশি লিখে যাচ্ছে। আমরা তো কাউকে কোনো গ্রেপ্তার করি না, বাধাও দেওয়া হয় না। মানুষ পূর্ণ বাক-স্বাধীনতা ভোগ করছে। আমি বুঝি না নিষেধাজ্ঞা কেন দেবে? আমার ধারণা, তারা নিষেধাজ্ঞা দেবে না, বাস্তবতা বুঝবে। একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সহায়তা করবে। আমি আশাবাদী, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেবে না।

‘আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে, প্রস্তুত সরকার’ শিরোনামে খবর ছেপেছে একটি দৈনিক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিকই বলেছেন। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ আমরা কোনোদিনই কামনা করি না বা সহজভাবে নিতে পারি না। আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। এখানে আশি শতাংশের বেশি মুসলমান। যেভাবে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছিল, সেই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের দমন করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বাস্তববাদী হতে হয়েছে। দেশ ও জাতির স্বার্থে আমাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। আর এ কারণে যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে তা কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে? -বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।

‘বর্তমানে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আছে, ছয়মাস পরে আরও একটি নির্বাচন হবে। পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। কাজেই বাংলাদেশে এমন কোনো সরকারের অধীন নির্বাচন হবে না। সংবিধানের বহির্ভূত কিছু হবে না। তবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া দরকার। আর এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সরকার কমিশনকে সহায়তা করবে’ -যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন অভিযোগ আনছে। সে সব অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আমি বলি যে, মিসরে কী গণতন্ত্র আছে। নির্বাচিত হয়ে তো একজন প্রেসিডেন্ট হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীনরা তাকেও মেরে ফেলেছে। সেখানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে জেলে পোরার ছয় মাসের মধ্যে ৮০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কয় মিলিয়ন ডলার দিয়েছে তারা? আমরা তো গণতান্ত্রিক দেশ। মিসরের চেয়ে আমাদের সম্পদও কম।

এমএম/এসএম