ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য প্রধান অন্তরায়। আইনটি এতটাই নিপীড়নমূলক যে সংশোধন করেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব নয়, বাতিল করাই একমাত্র সমাধান।

মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‍্যাক) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য প্রধান অন্তরায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা দায়ের হওয়া উদ্বেগের বিষয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি এতটাই নিপীড়নমূলক যে এটিকে সংশোধন করেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। একমাত্র সমাধান হচ্ছে এটি বাতিল করা।’

তিনি বলেন, উপাত্ত সংরক্ষণ আইনসহ আরও বেশ কিছু নতুন আইন তৈরি হচ্ছে। যেগুলোর সবকটিতেই সাংবাদিকতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নিজেদের নানা উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। নির্বাচন সামনে রেখে এর প্রয়োগ আরও বেশি হতে পারে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের মতে, সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণমানুষের মাঝে তথ্য পৌঁছে দিতে ও জনসচেতনতা তৈরিতে সাহসী ভূমিকা পালন করছেন।

দুর্নীতিমুক্ত ও সুশাসিত দেশ গঠনে গণমাধ্যমকর্মীরা যেন সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পারেন এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ, কর্মীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা ও নিয়মিত বেতন ভাতার পাশাপাশি আপৎকালীন ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার, গণমাধ্যম মালিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম, একই বিভাগের সমন্বায়ক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, র‍্যাকের সভাপতি আহাম্মদ ফয়েজ ও সাধারণ সম্পাদক জেমসন মাহবুবসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

আরএম/এমজে