ঢাকাই মসলিন দেখে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, এটা জামদানির বিকল্প কি না? কারণ এর গুণগত মান ও সৌন্দর্য দেখে আমার তাই মনে হয়েছে। তবে এটা আমার নিজের মতামত। এর উন্নয়নে আরও গবেষণা করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিন সুতা ও কাপড় পুনরুদ্ধার এবং এ খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মসলিন সুতা ও কাপড় পুনরুদ্ধারের গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মসলিনের ব্যবহার ও সৌন্দর্যসহ সব মিলিয়ে এটা আমার কাছে মনে হয়েছে এটা জামদানির বিকল্প কি না? এটা আমার নিজের মতামত, কারণ বিদেশের মসলিন আরও বেশি মানসম্পন্ন। তারপরও আমি বলব এটা আমাদের পণ্য। এর ব্র্যান্ডিং করাসহ গবেষণা করতে হবে এবং এর উন্নয়নে আরও জোড় দিতে হবে। আমার বক্তব্যটা কেউ সমালোচনা হিসেবে নেবেন না। আমি পরামর্শকমূলকভাবে কথাগুলো বলেছি।

ড. শামসুল আলম বলেন, আমার সব মিলিয়ে মনে হয়, এ পণ্য যদি ধোয়া না যায় ও সবসময় পড়া না যায়, তাহলে এতো দাম দিয়ে কেউ এটা কিনবে কেন? আমার মতে, এ মসলিনটা ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। এর ব্যবহার বাড়াতে হলে ব্যয়টা সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। এছাড়া এর ব্যবহার উপযোগিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংরক্ষণের ওপরও জোড় দিতে হবে বলে জানান তিনি।

এসআর/এফকে